পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল
শিরোনাম :
Logo ময়মনসিংহ বিআরটিএ টাকা ছাড়া কাজ করেন না সহকারী পরিচালক এস এম ওয়াজেদ, সেবাগ্রহীতাদের অসন্তোষ Logo বগুড়ায় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে গৃহবধু আহত Logo বাউফলে নির্বাচনী সহিংসতা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম।  Logo সান্তাহারে ট্রেনে পৃথক স্থানে কাটা পড়ে দুই যুবকের মৃত্য Logo বগুড় সান্তাহারে এক স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা Logo জন্মগত জটিল রোগে ভুগছেন শিশু কাওসার, অর্থের অভাবে থেমে আছে চিকিৎসা। Logo বিআরটিএ’র পরিদর্শক আরিফুলের অবৈধ সম্পদের পাহার, দুদকের মামলা, এখনো বহাল তবিয়তে Logo বেবিচকের ধনকুবের খ্যাত শত কোটি টাকার মালিক সুব্রত চন্দ্র দে। দুদকে অভিযোগে Logo বিআরটিএ’র পরিদর্শক আরিফুলের অবৈধ সম্পদের পাহার, দুদকের মামলা, এখনো বহাল তবিয়তে Logo এতদিন কি তাহলে বিআরটিএ ঘুমিয়ে ছিল? প্রশ্ন কাদেরের

গাজীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

বাংলার খবর২৪.কমsex-fb : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ভিটিপাড়া এলাকায় ৪র্থ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল মজিদ জানান, বাড়ির পাশেই কালিপূজা উপলক্ষে ভিটিপাড়া সার্বজনীন পূজামণ্ডপে কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছিল। শুক্রবার রাত ৭টার দিকে পূজামণ্ডপে কীর্তন ও পূজানুষ্ঠান দেখতে বাড়ি থেকে বের হয় ওই মাদ্রাসা ছাত্রী ইলমী আক্তার(১০)। পরে রাত ১০টার দিকেও সে বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। পরদিন শনিবার এলাকাবাসী স্থানীয় সোবাহান ফকিরের ফুল বাগানের ভেতর তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশ ও স্বজনদের খবর দেয়। তার মুখে কামড়ের দাগ ছিল। পরনের হাফ প্যান্টটিও লাশের পাশে পড়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে কেউ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ওই বাগানে ফেলে গেছে। সকাল ১০টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মৃত ইলমি আক্তার (১০) মরিচের চালা এলাকার নুর মোহাম্মদের মেয়ে ।

নাঈমার নানী আকলিমা আক্তার জানান, শুক্রবার রাত ৭টার দিকে ইলমি ও তার ছোট বোন নাঈমাকে (৭) নিয়ে তিনি ওই পূজামণ্ডপে গিয়েছিলেন। তাদের মণ্ডপে রেখে পাশের একটি দোকানে বসেছিলেন তিনি (নানী)। পরে স্থানীয় কদমা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে মন্টু (৩৪) নাঈমাকে পাঁচ টাকা দিয়ে তার নানীর কাছে পাঠিয়ে দেয়।

নানী নাঈমার কাছে ইলমির কথা জানতে চাইলে সে জানায়, আপু মিন্টু মামার সঙ্গে আছে। মিন্টু মামা আমাকে চকলেট খেতে পাঁচ টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা পরও ইলমি ফিরে না আসায় মণ্ডপ এলাকায় খুঁজতে থাকি। কোথাও না পেয়ে মিন্টুর বাড়িতে যাই। কিন্তু মিন্টুকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরদিন ফুল বাগানে নাতনীর লাশ পেয়েছি।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহ বিআরটিএ টাকা ছাড়া কাজ করেন না সহকারী পরিচালক এস এম ওয়াজেদ, সেবাগ্রহীতাদের অসন্তোষ

গাজীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

আপডেট টাইম : ০৯:২৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৪

বাংলার খবর২৪.কমsex-fb : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ভিটিপাড়া এলাকায় ৪র্থ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল মজিদ জানান, বাড়ির পাশেই কালিপূজা উপলক্ষে ভিটিপাড়া সার্বজনীন পূজামণ্ডপে কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছিল। শুক্রবার রাত ৭টার দিকে পূজামণ্ডপে কীর্তন ও পূজানুষ্ঠান দেখতে বাড়ি থেকে বের হয় ওই মাদ্রাসা ছাত্রী ইলমী আক্তার(১০)। পরে রাত ১০টার দিকেও সে বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। পরদিন শনিবার এলাকাবাসী স্থানীয় সোবাহান ফকিরের ফুল বাগানের ভেতর তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশ ও স্বজনদের খবর দেয়। তার মুখে কামড়ের দাগ ছিল। পরনের হাফ প্যান্টটিও লাশের পাশে পড়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে কেউ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ওই বাগানে ফেলে গেছে। সকাল ১০টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মৃত ইলমি আক্তার (১০) মরিচের চালা এলাকার নুর মোহাম্মদের মেয়ে ।

নাঈমার নানী আকলিমা আক্তার জানান, শুক্রবার রাত ৭টার দিকে ইলমি ও তার ছোট বোন নাঈমাকে (৭) নিয়ে তিনি ওই পূজামণ্ডপে গিয়েছিলেন। তাদের মণ্ডপে রেখে পাশের একটি দোকানে বসেছিলেন তিনি (নানী)। পরে স্থানীয় কদমা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে মন্টু (৩৪) নাঈমাকে পাঁচ টাকা দিয়ে তার নানীর কাছে পাঠিয়ে দেয়।

নানী নাঈমার কাছে ইলমির কথা জানতে চাইলে সে জানায়, আপু মিন্টু মামার সঙ্গে আছে। মিন্টু মামা আমাকে চকলেট খেতে পাঁচ টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা পরও ইলমি ফিরে না আসায় মণ্ডপ এলাকায় খুঁজতে থাকি। কোথাও না পেয়ে মিন্টুর বাড়িতে যাই। কিন্তু মিন্টুকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরদিন ফুল বাগানে নাতনীর লাশ পেয়েছি।