বাংলার খবর২৪.কম : মহেশখালীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কয়ালাভিত্তিক দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান আব্দুহু রুহুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন যথাক্রমে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং মালয়েশিয়ান সরকারের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিশেষ দূত দাতো সেরি উতামা ভিলু। মালয়েশিয়ান কোম্পানির পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন টিএনবি’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজরি শাহরুদ্দিন ও পিবি’র ড. অং পেং সু এবং পিডিবি’র পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আব্দুহু রুহুল্লাহ।
এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার নরলিন ওথম্যান, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। এই ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়ালাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প আমাদের জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে এক নতুন সংযোজন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক কয়লা আছে। যা উন্নত অবকাঠামোর অভাবে উত্তোলন করতে পারছি না। মালয়েশিয়া থেকে আধুনিক যন্ত্রপাতি এনে কয়লার ব্যবহার নিশ্চিত করবো। আমাদের দেশে যে পরিমাণ কয়লা আছে তা যদি উত্তোলন করা যায় তাহলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিমাণ বাড়বে। ফলে আমরা জনগণের দোড় গোঁড়ায় আরো বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছে দিতে পারবো।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫৫০ একর জমির ওপর প্রস্তাবিত এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ২০১৯ সালের পর সম্পন্ন হতে পারে। এতে প্রতিদিন কয়লা লাগবে ১১০০ টন। প্রধানত এসব কয়লা ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং মোজাম্বিক থেকে আমদানি করা হবে।
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব মনোয়ার ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।