পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল
শিরোনাম :
Logo সরকারি দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে উড়োচিঠি, জানেন না অভিযোগকারী! Logo ঈদযাত্রা নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক করতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে: সড়ক উপদেষ্টা Logo পাটগ্রামে সুপারি গাছ থেকে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু Logo বউফলের বগা সেতু বাস্তবায়নের দাবীতে ঢাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। Logo নাগরপুরে গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা, চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo পাটগ্রামে ট্রাক স্টান্ডের চাঁদাবাজি অভিযোগ ইউএনওকে ট্রাক মালিকদের স্মারকলিপি প্রদান Logo স্কুল ছাত্রী জন্নাতি হত্যা মামলার আইনজীবীকে হুমকি Logo আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন দেশে নির্মিত টার্নটেবিলের উদ্ভাবক রেল প্রকৌশলী বাবু Logo লালমনিরহাটে সাংবাদিক ফারুক সূর্যকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ Logo লালমনিরহাটে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু

স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল

ডেস্ক: ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নেমেছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ অধিকাংশের হাতে লাল-সবুজের পতাকা, মুখে `জয় বাংলা` স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা। মহান এ দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসে হাজারো জনতার খণ্ড খণ্ড মিছিল। থেকে ভেসে আসছিল নানা স্লোগান।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিজয়ের ৪৫ বছর উদযাপন করতে আসা হাজারো মানুষের মধ্যে ছিল বাঁধভাঙা উল্লাস। তবে এর মধ্যেও ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাতে ভোলেননি তারা।

অনেককেই দেখা গেছে দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলাতে। শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে তাদের হাতে ছিল নানা রংয়ের, নানা বর্ণের ফুল। আবার অনেকেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নীরবতা পালন করেছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল শহীদদের রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর পর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া। এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে শহীদ বেদিতে আরো একবার শ্রাদ্ধ নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আওয়ামী লীগের জ্যৈষ্ঠ নেতারা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

এরপরই জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

ভোর ৬টা ৪৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে উড়োচিঠি, জানেন না অভিযোগকারী!

স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল

আপডেট টাইম : ০৫:০০:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬

ডেস্ক: ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নেমেছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ অধিকাংশের হাতে লাল-সবুজের পতাকা, মুখে `জয় বাংলা` স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা। মহান এ দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসে হাজারো জনতার খণ্ড খণ্ড মিছিল। থেকে ভেসে আসছিল নানা স্লোগান।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিজয়ের ৪৫ বছর উদযাপন করতে আসা হাজারো মানুষের মধ্যে ছিল বাঁধভাঙা উল্লাস। তবে এর মধ্যেও ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাতে ভোলেননি তারা।

অনেককেই দেখা গেছে দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলাতে। শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে তাদের হাতে ছিল নানা রংয়ের, নানা বর্ণের ফুল। আবার অনেকেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নীরবতা পালন করেছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল শহীদদের রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর পর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া। এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে শহীদ বেদিতে আরো একবার শ্রাদ্ধ নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আওয়ামী লীগের জ্যৈষ্ঠ নেতারা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

এরপরই জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

ভোর ৬টা ৪৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক।