পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল
শিরোনাম :
Logo বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার। Logo লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে শপথ বাক্য পাঠ করান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। Logo বগুড়া সান্তাহার রেলওয়ে প্লাটফর্মে যাত্রীর পেটে চাকু ধরে ছিনতাইয়ের চেষ্টা Logo লালমনিরহাট জেলার স-মিল গুলোতে কোন প্রকার নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ছাড়াই কাজ করছে স-মিল শ্রমিক শ্রমিকরা। Logo জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত ৪, গ্রেফতার ২ Logo স্ত্রীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পাশবিক নির্যাতনের পর তালাক নোটিশ! Logo বাউফলে ভিক্ষুকের বসত ঘর ভেঙ্গেচুরে পুকুরে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা! Logo জরিমানা ছাড়া মোটরযানের কাগজ হালনাগাদ করা যাবে জুন পর্যন্ত Logo দীর্ঘ একযোগেও ভোগান্তি কমেনি ব্রিজ পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেই; জনগণের ভোগান্তি চরমে Logo বগুড়া আদমদীঘি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ গণমাধ্যমে সমর্থকদের প্রচারণা

জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রশাসক নিয়োগ কি শেষ সমাধান!

ঢাকা: পেশাদার সাংবাদিকদের মুক্তবুদ্ধি চর্চার ক্ষেত্র হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি। জোরালো আওয়াজ উঠেছে, ‘সাংবাদিক নামধারী সুবিধাবাদীদের’ কবল থেকে এই প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে হবে।

এ অবস্থায় প্রশাসক নিয়োগ করে জাতীয় প্রেসক্লাবকে অশুভ শক্তির কবলমুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকেই।

অভিযোগ ‍উঠেছে, তথাকথিত সাংবাদিকদের একটি চিহ্নিত, মুখচেনা গোষ্ঠীর হাতে বছরের পর বছর কুক্ষিগত থাকায় পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রেসক্লাব তার ‘জাতীয়ভিত্তিক চরিত্র’ হারিয়ে ফেলেছে।

একসময়ে যাদের হাতে এই প্রেসক্লাব জাতীয় মর্যাদা পেয়েছিলো তারাই এখন এই প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে কথা বলতে শুরু করেছেন।

সম্প্রতি প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি ও নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ও তার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট অচলাবস্থার পর এখনই জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রশাসক নিয়োগ করার পক্ষে মত দিচ্ছেন তারা।

তাদের অভিমত, প্রেসক্লাব একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। তাই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের কব্জায় খাবি খেতে থাকা প্রেসক্লাবের দুর্দিনে সরকারের আর চুপ করে থাকা উচিত হবে না। সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের বৃহত্তর স্বার্থে সরকারকে এখনই প্রেসক্লাবে প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে। প্রয়োজনে জরুরি আদেশে সংশোধন আনতে হবে গঠনতন্ত্রেও।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও জাতীয় প্রেসক্লাবকে একটি মুক্তবুদ্ধি চর্চার স্থান হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি যাতে সাংবাদিকতার বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারে সে লক্ষ্যে আরো বড় পরিসরে এর স্থাপনার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে প্রায় সব রাষ্ট্রনায়ক আর সরকার প্রধানই জাতীয় প্রেসক্লাবকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছেন।

প্রখ্যাত সাংবাদিক প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য প্রয়াত এনায়েতুল্লাহ খান ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেলে প্রেসক্লাবের জায়গা বরাদ্দ দেন। তখন তিনিও চেয়েছিলেন জাতির কল্যাণে একটি সার্বজনীন প্লাটফর্ম হয়ে উঠুক এই জাতীয় প্রেসক্লাব।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার।

জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রশাসক নিয়োগ কি শেষ সমাধান!

আপডেট টাইম : ০৩:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মে ২০১৫

ঢাকা: পেশাদার সাংবাদিকদের মুক্তবুদ্ধি চর্চার ক্ষেত্র হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি। জোরালো আওয়াজ উঠেছে, ‘সাংবাদিক নামধারী সুবিধাবাদীদের’ কবল থেকে এই প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে হবে।

এ অবস্থায় প্রশাসক নিয়োগ করে জাতীয় প্রেসক্লাবকে অশুভ শক্তির কবলমুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকেই।

অভিযোগ ‍উঠেছে, তথাকথিত সাংবাদিকদের একটি চিহ্নিত, মুখচেনা গোষ্ঠীর হাতে বছরের পর বছর কুক্ষিগত থাকায় পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রেসক্লাব তার ‘জাতীয়ভিত্তিক চরিত্র’ হারিয়ে ফেলেছে।

একসময়ে যাদের হাতে এই প্রেসক্লাব জাতীয় মর্যাদা পেয়েছিলো তারাই এখন এই প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে কথা বলতে শুরু করেছেন।

সম্প্রতি প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি ও নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ও তার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট অচলাবস্থার পর এখনই জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রশাসক নিয়োগ করার পক্ষে মত দিচ্ছেন তারা।

তাদের অভিমত, প্রেসক্লাব একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। তাই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের কব্জায় খাবি খেতে থাকা প্রেসক্লাবের দুর্দিনে সরকারের আর চুপ করে থাকা উচিত হবে না। সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের বৃহত্তর স্বার্থে সরকারকে এখনই প্রেসক্লাবে প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে। প্রয়োজনে জরুরি আদেশে সংশোধন আনতে হবে গঠনতন্ত্রেও।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও জাতীয় প্রেসক্লাবকে একটি মুক্তবুদ্ধি চর্চার স্থান হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি যাতে সাংবাদিকতার বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারে সে লক্ষ্যে আরো বড় পরিসরে এর স্থাপনার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে প্রায় সব রাষ্ট্রনায়ক আর সরকার প্রধানই জাতীয় প্রেসক্লাবকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছেন।

প্রখ্যাত সাংবাদিক প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য প্রয়াত এনায়েতুল্লাহ খান ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেলে প্রেসক্লাবের জায়গা বরাদ্দ দেন। তখন তিনিও চেয়েছিলেন জাতির কল্যাণে একটি সার্বজনীন প্লাটফর্ম হয়ে উঠুক এই জাতীয় প্রেসক্লাব।