পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল
শিরোনাম :
Logo সরকারি দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে উড়োচিঠি, জানেন না অভিযোগকারী! Logo ঈদযাত্রা নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক করতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে: সড়ক উপদেষ্টা Logo পাটগ্রামে সুপারি গাছ থেকে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু Logo বউফলের বগা সেতু বাস্তবায়নের দাবীতে ঢাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। Logo নাগরপুরে গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা, চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo পাটগ্রামে ট্রাক স্টান্ডের চাঁদাবাজি অভিযোগ ইউএনওকে ট্রাক মালিকদের স্মারকলিপি প্রদান Logo স্কুল ছাত্রী জন্নাতি হত্যা মামলার আইনজীবীকে হুমকি Logo আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন দেশে নির্মিত টার্নটেবিলের উদ্ভাবক রেল প্রকৌশলী বাবু Logo লালমনিরহাটে সাংবাদিক ফারুক সূর্যকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ Logo লালমনিরহাটে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু

মৃত দেখিয়ে মামলার ৫ দিন পর মারা গেলেন সেই মা

মাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে হত্যা মামলা দায়ের করার ৫ দিন পর অবশেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মমতাজ বেগম (৫০) মারা গেছেন।

বুধবার সকালে মারা যান তিনি। এর আগে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে জীবিত মাকে হাসপাতালের বেডে রেখে থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে। দ্বিতীয় বার মৃত্যুর খবর শুনে অনেকে বিশ্বাস করতে পারেনি।

এ খবরে সারা নরসিংদীতে তোলপাড় শুরু হয়। বিকেলে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে এ চাঞ্চল্যকর মৃত্যর ঘটনা। নরসিংদীর কৌতুহলী মানুষ ঘটনার সত্য জানার জন্য সন্ধ্যায় মরদেহ দেখতে দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামে মামতাজ বেগমের বাড়িতে ভিড় জমায়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী সদর উপজেলার দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামের জাকির হোসেন ও ওমর ফারুক গংদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ৯ ডিসেম্বর সংঘটিত সংঘর্ষে মমতাজ বেগম (৫০) আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে জীবিত মাকে রেখে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মমতাজ বেগমের ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় দালাল ছানাহ উল্লাহর মাধ্যমে নরসিংদী সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের ছেলে ওমর ফারুক কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, অবশেষে আমার মা মারা গেছেন। কথিত দালাল ছানাউল্লাহ জানান, মৃত্যুর খবর সঠিক।

এ ব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত চলছে। যেহেতু মৃত্যুর ঘটনা সঠিক সেক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা নেয়া হবে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে উড়োচিঠি, জানেন না অভিযোগকারী!

মৃত দেখিয়ে মামলার ৫ দিন পর মারা গেলেন সেই মা

আপডেট টাইম : ০৪:৫১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬

মাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে হত্যা মামলা দায়ের করার ৫ দিন পর অবশেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মমতাজ বেগম (৫০) মারা গেছেন।

বুধবার সকালে মারা যান তিনি। এর আগে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে জীবিত মাকে হাসপাতালের বেডে রেখে থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে। দ্বিতীয় বার মৃত্যুর খবর শুনে অনেকে বিশ্বাস করতে পারেনি।

এ খবরে সারা নরসিংদীতে তোলপাড় শুরু হয়। বিকেলে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে এ চাঞ্চল্যকর মৃত্যর ঘটনা। নরসিংদীর কৌতুহলী মানুষ ঘটনার সত্য জানার জন্য সন্ধ্যায় মরদেহ দেখতে দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামে মামতাজ বেগমের বাড়িতে ভিড় জমায়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী সদর উপজেলার দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামের জাকির হোসেন ও ওমর ফারুক গংদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ৯ ডিসেম্বর সংঘটিত সংঘর্ষে মমতাজ বেগম (৫০) আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে জীবিত মাকে রেখে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মমতাজ বেগমের ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় দালাল ছানাহ উল্লাহর মাধ্যমে নরসিংদী সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের ছেলে ওমর ফারুক কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, অবশেষে আমার মা মারা গেছেন। কথিত দালাল ছানাউল্লাহ জানান, মৃত্যুর খবর সঠিক।

এ ব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত চলছে। যেহেতু মৃত্যুর ঘটনা সঠিক সেক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা নেয়া হবে।